উন্নাও ধর্ষণকাণ্ড

ক্ষোভে ফুঁসছে ভারত; ৭ পুলিশ সাসপেন্ড

by

সম্প্রতি ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের উন্নাওতে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়। এর আগে হায়দরাবাদে আরেক নারী ডাক্তারকে ধষর্ণ করে পুড়িয়ে মারা হয়। এসব ঘটনায় ভারতের বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ করছে জনতা। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে উন্নাও। এদিকে, কর্তব্যে অবহেলার জন্য উন্নাও জেলার ষ্টেশন হাউস অফিসারসহ সাত পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে প্রশাসন। এর আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এই বার্তা দিতে চাইলেন সাধারণের কাছে।

উন্নাওয়ে নির্যাতিতা তরুণীর মরদেহ রবিবার নিজের গ্রামে সমাহিত করা হয়। শেষ বিদায় দিতে এসে ধর্ষকদের দ্রুত এবং চরম শাস্তির দাবিতে সরব হন বহু মানুষ। গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণী শিবম ত্রিবেদী ও তার ভাই শুভমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেছিলেন। আদালতে যাওয়া ঠেকাতে নির্যাতিতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের পরে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় জামিনে ছাড়া পাওয়া অভিযুক্তরা। কর্তব্যে অবহেলার জন্য রাতে উন্নাও বিহার থানার ৭ পুলিশকে সাসপেন্ড করেছে সরকার।

দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল থেকে তরুণীর মরদেহ নিয়ে আসার পর সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান সেখানে। রাতেই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ সরকারের দুই মন্ত্রী স্বামীপ্রসাদ মৌর্য এবং কমলরানি বরুণ। সকালে তাঁরা নির্যাতিতার গ্রামে পৌঁছালে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্লোগান শুরু হয়। এরপর ছ’ফুট বাই তিন ফুটের সদ্য খোঁড়া গর্তের পাশে পড়ে থাকে হলুদ কাপড়ে মোড়া নির্যাতিতার দেহ।

মৃত তরুণীর দাদা জানিয়েছেন, দেহ তো পুড়েই গিয়েছে। দাহ না করে তাই জমিতে সমাহিত করেই শেষকৃত্য হবে। তার উপরে তৈরি হবে স্মারক বেদি।

পুলিশ কমিশনার মুকেশ মেশরাম জানান, দাবি মেনে নির্যাতিতার বোনকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এক জনকে সরকারি চাকরিও দেওয়া হবে। পরিবার চাইলে অস্ত্রের লাইসেন্সও দেবে পুলিশ। এ ছাড়া অর্থসাহায্য এবং সরকারি সহায়তায় বাড়ি করে দেওয়া হবে তাঁদের।