নিউজিল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ৫ জন নিহত
by অনলাইন ডেস্কনিউজিল্যান্ডে একটি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়।
আজ সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ২টা ১১ মিনিটে হোয়াইট আইল্যান্ড নামের আগ্নেয়গিরিটিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এর কয়েক মুহূর্ত আগেও আগ্নেয়গিরিটর অদূরে পর্যটকদের ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে ২৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঘটনার সময় সেখানে ঠিক কতজন ছিলেন, তা নিশ্চিত নয়। পুলিশ জানিয়েছে, আবারও অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কায় সেখানে উদ্ধারকর্মীরাও যেতে পারছেন না। এই দ্বীপটি দেশটির খুবই সক্রিয় আগ্নেয়গিরির একটি। এরপরও ব্যক্তিমালিকানাধীন এই দ্বীপটি পর্যটকদের কাছে দর্শনীয় এক স্থান এবং এর ওপর দিয়ে অহরহ ফ্লাইট চলাচল করে।
পুলিশ জানিয়েছে, অগ্ন্যুৎপাতের সময় ৫০ জনের কম পর্যটক সেখানে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে নিউজিল্যান্ড ছাড়াও বিদেশিরা ছিলেন।
মাইকেল শেইড নামের এক পর্যটক ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি শেষ করে নৌকায় করে ফিরছিলেন। এ সময়ই অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। তিনি নৌকা থেকে ছাই ও ধোঁয়ার কুণ্ডলীর দৃশ্য ভিডিও করেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার মাত্র ৩০ মিনিট আগেও তিনি সেখানে ছিলেন।
‘আমরা মাত্র নৌকায় উঠলাম...এর মধ্যে অগ্ন্যুৎপাতের বিষয়টি একজনের নজরে পড়ল। আমরা সবাই দেখলাম। আমি সত্যি হতভম্ব হয়ে গেলাম। নৌকাটি ঘুরিয়ে আমরা ঘাটে অপেক্ষায় থাকা আরও কয়েকজনকে নৌকায় তুলে নিই।’ আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ব্রাজিলিয়ান অ্যালিসানদ্রো বলেন, আগ্নেয়গিরিটিতে আজ দুটি গ্রুপ ঘুরতে গিয়েছিল। এর মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম গ্রুপে। অগ্ন্যুৎপাত শুরুর পাঁচ মিনিট আগে তাঁরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তাঁদের পরপরই আরেকটি গ্রুপ সেখানে যায়। দুর্ভাগ্য, তাঁরা সেখান থেকে বের হওয়ার সময় পাননি। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতরভাবে পুড়ে গেছেন।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, ‘ঘটনার সময় যাঁরা সেখানে ছিলেন, তাঁদের পরিবার গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছে, আমি জানি। আমি তাঁদের আশ্বস্ত করতে চাই যে পুলিশ তাদের করণীয় সব করছে। তবে অগ্ন্যুৎপাতের সঙ্গে বের হওয়া ছাইয়ের কারণে উদ্ধারকারীদের ঘটনাস্থলে যেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের প্রতিরক্ষা বাহিনীও এখন উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে।’