পাঁচ গ্রামের মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে সেতু নির্মাণ

by

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার পাঁচ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এবার এগিয়ে এসেছে এলাকার বাসিন্দারা। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তারা স্থানীয় ধলিয়া খালের ভেতর দিয়ে সড়ক ও সেতু নির্মাণ করছে। 

খালের ওপর সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতির পরও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবুল হাসেম ভূঁইয়ার মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে শিপন ভূঁইয়া নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ কাজে। নিজেদের দুর্ভোগ লাঘবে স্বেচ্ছাশ্রমে ধলিয়া খালের ওপর রাস্তা ও সেতু নির্মাণে নেমে পড়েছেন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিচ্ছিন্ন জনপদ মোহাম্মদপুর-বড়ঝলাসহ পাঁচ গ্রামের মানুষ। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ধলিয়া খালের কারণে মাটিরাঙ্গা পৌরসভা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে মোহাম্মদপুর-বরঝলাসহ পাঁচটি গ্রাম। বর্ষা শেষে ধলিয়া খালটি অনেকটাই শুকিয়ে আসে। বর্ষা শেষ হলেও খালের পানি কোমরসমান। 

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার হাসপাতাল এলাকার ধলিয়া খালটি পাঁচ গ্রামের মানুষকে শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে জানিয়ে শিপন ভূঁইয়া বলেন, বছরের ১২ মাসই ধলিয়া খালে পানি থাকে। ফলে ভোগান্তি তাদের পিছু ছাড়ে না। মানুষের পারাপারসহ উৎপাদিত পণ্য হাট-বাজারে নেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই একটি সেতুর জন্য আমার বাবা মৃত্যুর আগে বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও ব্যর্থ হন। তাই বাবার মৃত্যুর পর এবার খাল পারাপারে গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ১৭ ফুট দৈর্ঘ্য বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

বড়ঝলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিমল চাকমা বলেন, ধলিয়া খালের ওপর সেতু নির্মিত না হওয়ায় বছরের বেশিরভাগ সময় ধরে শিশু শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। কাউন্সিলরের ছেলের এমন উদ্যোগে জনদুর্ভোগ সাময়িক লাঘব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

ধলিয়া খালের ওপর কোনো সেতু বা ব্রিজ না থাকায় ওই এলাকার ছয় সহস্রাধিক মানুষ শুকনো মৌসুমে খাল পার হতে পারলেও বর্ষাকালে চরম দুর্ভোগের শিকার হন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা মো. জয়নাল আবদীন।