বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে

যবিপ্রবিতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

by

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি।

রবিবার বিকালে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

https://www.kalerkantho.com/ckfinder/userfiles/images/hotjobs/all/122128(1).jpg

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পূর্বে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য স্বাগত বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের শুধু লেখাপড়া করলেই হবে না, রাজনৈতিক সচেতন হতে হবে। চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমাদের জাতীয়তা, আমাদের আত্ম-পরিচয়, মুক্তিযুদ্ধকে রক্ষা করতে হলে সঠিক ও ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারায় ধাবিত হতে হবে।’ আজকে বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকতেই আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। আমি আশা করি, সকলের চেষ্টায় যশোরের গৌরব এ বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণা ও খেলাধুলায় সারা দেশে আলাদা অবস্থান করে নেবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের সুষ্ঠুভাবে রাখতে হবে। সকল অপকর্ম ও ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে রক্ষা করে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় আগ্রহী করার জন্য পূর্বের চেয়ে আর্থিক বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে প্রতি বছর বিশ^বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ পালন করা হবে। এছাড়াও সূচনা বক্তব্য দেন শরীর চর্চা শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ নাসিম রেজা।

যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হল এবং শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের সহযোগিতায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিশ^বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষা দপ্তর। বিশ^বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অস্থায়ী তৈরিকৃত ট্রাক ইভেন্টে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট থেকে ৫০০০ মিটার স্প্রিন্ট পর্যন্ত দৌঁড় এবং ফিল্ড ইভেন্টে দীর্ঘ লাফ, উচ্চ লাফ, গোলক নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, বর্ষা নিক্ষেপ, পয়জন বল, মিউজিক্যাল চেয়ারসহ নানা ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। ক্রীড়ামোদি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ পুরো আয়োজন জমজমাট হয়ে উঠে।