নদী দখল করে পুকুর!

by

 

https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2019/12/09/b159468361bb7ed83f3f01e5ca225aef-5dee12173c8c9.jpg

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বুড়ি ভৈরব নদীর জায়গা দখল করে পুকুর তৈরির অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ নদীর আশপাশের অনেকের জমি খনন করা হলেও সিদ্দিকুর রহমানের জমিতে হাত দেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারি কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় উপজেলার মাসলিয়া গ্রামবাসীর পক্ষে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) আব্দুল জান্নান পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভূমি অফিসে অভিযোগ  করেছেন। ইতোমধ্যে পুকুর উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছে এলাকাবাসী।

মাসলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নদীর জায়গা দখল করে সিদ্দিকুর পুকুর তৈরি করেছেন। বিষয়টি অভিযোগ আকারে পানি উন্নয়নবোর্ডে ও ঠিকাদারকে জানানো হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন ও বারবাজার ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বুড়ি ভৈরব নদীটি চলে গেছে। নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে করে খনন শুরু করে। কিন্তু সিদ্দিকুর নদীর মাঝে প্রায় ২ একর ৩৫ শতক জমি দখল করে পুকুর করেছেন। এতে পাল্টে গেছে নদী খননের ম্যাপ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও নদী খনন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।

লিখিত অভিযোগকারী আব্দুল জান্নান বলেন, ‘আমাদের জমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদাররা খনন করলেও সিদ্দিকুর রহমানের পুকুরে পাড় উল্টো বেধে দিয়েছে।’

হাসিলবাগ গ্রামের আবু বক্কার জানান, তাদের প্রায় ৩৫ শতক ফসলি জমি নদীর মধ্যে খনন করে নিয়েছে। কিন্তু পাশের সিদ্দিকের প্রায় ২.৩৫ একর জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড হাত দেয়নি।

অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি নিজের জমিতে এই পুকুর করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলায় তারা পুকুরের পাশ থেকে কিছু অংশ খনন করে মাটি পুকুরের পাড়ে দিয়েছে। আমি যদি কাউকে ম্যানেজ করে কাজটি করাতে পারি, তাহলে জনগণের কী? আমার ক্ষমতা আছে আমি করেছি। কেউ পারলে এই পুকুর উচ্ছেদ করে দেখাক।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তব্যরত ঠিকাদারি ম্যানেজার ইউনুচ আলী বলেন, ‘আমরা নদীর ম্যাপ অনুযায়ী খনন করেছি। খনন কাজ এখন চলছে। এখানে কোনো লেনদেনের বিষয় নেই। যে পুকুরের কথা বলা হচ্ছে ওই পুকুরের মালিক কাগজপত্র দেখিয়েছেন। সব ঠিকাছে।’