অধ্যাপক অজয় রায় আর নেই

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2019/12/09/585fd3d33f09652bec9a6da0f05ebdce-5dee01d819e53.jpg
অধ্যাপক অজয় রায়

একুশে পদকপ্রাপ্ত পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক অজয় রায় আর নেই। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ১২টার দিকে বারডেমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বারডেমের পরিচালক ফরিদ কবির। তিনি বলেন, দুপুর ১২টার দিকে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

অধ্যাপক অজয় রায় বারডেম হাসপাতালে দুই সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বার্ধক্যজনিত সমস্যা, নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিসে আক্রান্ত অজয় রায়কে গত ২৫ নভেম্বর বারডেমে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যরা জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৫ নভেম্বর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক অজয় রায়। ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্ট বাড়লে দুইদিন পর তাকে কৃত্রিম শ্বাস দেওয়া শুরু হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অধ্যাপক অজয় রায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী নৃশংস গণহত্যা শুরুর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসস্থল ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।। অজয় রায় মুজিবনগর সরকারের পরিকল্পনা সেলের সাম্মানিত সদস্যও ছিলেন। ভাষা আন্দোলন ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানেও তার অংশগ্রহণ ছিল।

শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অজয় রায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতাদেরও একজন। বর্তমানে তিনি নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা।

কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি বারডেমের পথে আছি। তার শেষকৃত্যের বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অজয় রায়ের বড় ছেলে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তিনি খুন হন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যাওয়া মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।