পশ্চিমবঙ্গে উপনির্বাচনে তিন আসনে ধরা খেল বিজেপি
by সময় সংবাদএনআরসি ইস্যুতেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার উপনির্বাচনে তিন আসনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনে তুলনামূলকভাবে খারাপ ফলাফলের পর ছয় মাসের মধ্যেই আবার জনপ্রিয়তায় ফিরে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
সাধারণ মানুষের মত, এনআরসি সহ বেশ কিছু ইস্যুর কারণে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা কমছে বাংলায়।
খড়গপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুর এই তিন বিধানসভার আসন শূন্য হয়ে গিয়েছিল কারণ এই তিন আসনের বিধায়করা সাংসদ হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। খড়গপুর থেকে বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ, কালিয়াগঞ্জ থেকে, কালিয়াগঞ্জ আসনটিও ছিল বিজেপির জয় পাওয়া আসন। তবে নদীয়া জেলার করিমপুর আসনটি বরাবরই তৃণমূলের।
বিজেপি দাবি করেছিল, তিন আসনেই তৃণমূল হারবে। তবে ২৮ নভেম্বর ফলাফল প্রকাশ হতেই গণেশ উল্টে গেল। বিজেপির কাছ থেকে হাত ছাড়া হলো দুটি আসন, আর তৃণমূলের ঝুলিতে তিন-এ-তিন। জাতীয় নাগরিক পুঞ্জি বা এনআরসি ইস্যুকে তৃণমূল কংগ্রেস কাজে লাগিয়েছে।
বামফ্রন্ট নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে যারা ভাবছিলেন বিজেপি ঠিক আছে, তারা বুঝতে পেরেছেন তৃণমূলের বিকল্প আর কিছু হতে পারে না।
বিজেপি ক্ষমতায় আসলে এখানে এনআরসি বাস্তবায়ন করা হবে- সেটা বিজেপির ঘোষিত সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে বিজেপির পতনের জন্য এনআরসিকেই সামনে আসছেন তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সভানেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এনআরসি আমরা সাপোর্ট করি না। আমরা চাই সরকারের কাছে, এরকম কিছু করবেন না।
২০২১ সালে ২০৯৪ আসনের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। ওই নির্বাচনে রাজ্যবাসী ঠিক করবেন পরের পাঁচ বছর রাজ্যটিতে কে শাসন করবে। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের ৪২ আসনের মধ্যে ১৮ টি আসনে বিজেপি জয় পেয়েছিল। তাই মনে করা হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনে এবার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে মমতার দলকে।