শুটিং করতে করতেই মারা গেলেন গডফ্রে গাও
by বিনোদন ডেস্ককেউ কি ভাবতে পেরেছিল এমনটা হবে! দিব্যি সুস্থ মানুষ। বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৫ বছর। তাইওয়ানিজ-কানাডিয়ান অভিনয়শিল্পী গডফ্রে গাও গতকাল বৃহস্পতিবার অন্যান্য সাধারণ দিনের মতোই শুটিংয়ে ছিলেন। টানা ১৭ ঘণ্টা এই শুটিং করছিলেন তিনি। এখানে প্রতিযোগীদের নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক ফিটনেসের পরীক্ষা দিতে হয়।
চাইনিজ টিভি রিয়্যালিটি শো ‘চেজ মি’এর নবম অ্যাপিসোডের শুটিং চলছিল, তখন সময় দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিট। ঠিক সেই সময় তিনি একটি উঁচু ঢাল পার হতে গিয়ে পড়ে যান। পড়ে যাওয়ার আগে যখন দৌঁড়াচ্ছিলেন, তখন খুবই ক্লান্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। পড়ে যাওয়ার পর দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক নিশ্চিত করেন, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন গডফ্রে গাও।
অন্তর্জালের দুনিয়ায় তাই ‘চেজ মি’ শো নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। অনেকেই এই শো’র প্রযোজকের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন এই মৃত্যুর দায়। আর ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ভরে গেছে গডফ্রে গাওকে অকালে হারানোর শোক গাঁথায়। একজন লিখেছেন, ‘কাজেই নিজেকে উজাড় করে দিলেন। শরীরের প্রতি একটুও খেয়াল রাখলেন না?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘একদম সুস্থ আর ফিট দেখাত তাঁকে। তিনি কীভাবে মারা গেলেন!’
বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে গডফ্রে গাওয়ের মতো নিপাট ভদ্রলোক আর একটি পাওয়া যাবে না বলে রায় দিয়েছেন তাঁর বন্ধু ও সহকর্মীরা। দ্য গার্ডিয়ান লিখেছেন, ‘তিনি এমন একটা মানুষ যার সম্বন্ধে কেউ একটা নেতিবাচক মন্তব্য করতে পারবে না।’
১৯৮৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তাইওয়ানের তাইপেই সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন গডফ্রে গাও। বড় দুই ভাই, মা আর বাবাকে নিয়ে খুব ছোটবেলায় তাঁর পরিবার চলে যায় কানাডায়। ২০০৪ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে ফিরে আসেন তাইওয়ানে। ২০০৬ সাল থেকে টেলিভিশনে অভিনয়শিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০১১ সালে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্রান্ড লুইস ভুইটনের প্রথম এশিয়ান মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
২০১৬ সালে চাইনিজ টেলিভিশনে রিমেম্বারিং লিচুয়ান ড্রামা সিরিজে অভিনয়ের পর রাতারাতি তিনি চীনা মিডিয়ায় ‘নেশনস হাসবেন্ড’ উপাধি পান। এর আগে ২০১৩ সালে ‘দ্য মর্টাল ইনস্ট্রুমেন্টস: সিটি অব বোন’ নামের হলিউড সিনেমাও তাঁকে জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ‘লাভ ইজ আ ব্রডওয়ে হিট’, ‘দ্য জেড পেনড্যান্ট’ ও চলতি বছর মুক্তিপ্রাপ্ত চীনা সায়েন্স ফিকশন ‘সাংহাই ফর্ট্রেস’ সিনেমায় তাঁর অভিনয় নজর কাড়ে সমালোচকদের।