প্রতারণার অভিযোগে ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ’র নেত্রী গ্রেফতার
by নীলফামারী প্রতিনিধি
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদানের নামে সদস্য সংগ্রহ ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ‘৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ’র এক নেত্রীকে নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই নারী নেত্রীর নাম খোদেজা বেগম। তিনি শহরের মুন্সিপাড়া ঢাকাইয়াপট্টি এলাকার বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সৈয়দপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হাসনাত খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, খোদেজা বেগম মুন্সিপাড়া ঢাকাইয়াপট্টি এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। বাসার পাশেই একটি দোকানে ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ নামে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে অফিস করেছেন। সংগঠনটির সদস্য হতে আগ্রহীদের কাছ থেকে তিনি দুই হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত সদস্য চাঁদা নেন। সদস্যদের বলা হয়, সংগঠনের মাধ্যমে তাদের সরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান করা হবে, এককালীন এক লাখ টাকাসহ বাড়ি করে দেওয়া হবে এবং সদস্যদের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাও বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এসব প্রচারণা চালিয়ে বৃহস্পতিবার শহরের হাতিখানা এলাকায় সদস্য সংগ্রহ করতে স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা তার কাছে সংগঠনের সঠিক পরিচিতি বা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতির কাগজ দেখতে চাইলে তিনি কিছুই দেখাতে পারেননি। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে, সৈয়দপুর থানার এসআই আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে খোদেজা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তার সংগঠনের বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় তার কাছ থেকে সদস্য সংগ্রহ ফরম, চাঁদা আদায়ের রশিদ ও নগদ তিন হাজার ৯৩৯ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হাসনাত খান জানান, তিনি তার সংগঠনের বিষয়ে সঠিক কোনও তথ্য দিতে পারেননি। তাছাড়া, যে সংগঠনের তিনি সদস্য সংগ্রহ করছেন সেটা নিবন্ধিত বা অনুমতিপ্রাপ্ত কোনও সংগঠন নয়। তিনি সংগঠনের নামে সদস্য সংগ্রহের অজুহাতে অর্থ আদায় করে প্রতারণা করছেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।