গফরগাঁওয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে বাপ-চাচার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর
by গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গাছ বিক্রি করতে না দেওয়ায় ছেলের নেতৃত্বে ভাড়া করা সন্ত্রাসী নিয়ে বাপ-চাচার বাড়িতে সশস্ত্র হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন একজনকে আটক করে পাগলা থানায় সোপর্দ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার উস্থি ইউনিয়নের বড় বাড়ি গ্রামে। এ ঘটনায় রাতেই ছেলে জুয়েল মিয়াকে প্রধান আসামি করে বাবা সিরাজুল ইসলাম ভেন্ডার পাগলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উস্থি ইউনিয়নের বড় বাড়ি গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ভেন্ডারের বড় ছেলে জুয়েল মিয়া প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি রেইনট্রি গাছ বিক্রির চেষ্টা চালায়। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম জুয়েলকে গাছ বিক্রিতে বাধা দিয়ে গাছটি ছোট ছেলে জীবনকে দিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জুয়েল মিয়া বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কান্দিপাড়া, কান্দাপাড়া ও তেরশ্রী এলাকা থেকে পিকআপযোগে ভাড়া করা ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে সিরাজুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা টিনের বেড়া, গ্রিল দেওয়া জানালা, বিদ্যুতের মিটার রামদা দিয়ে কোপায় ও ভাংচুর চালায়। এতে রফিকুল ইসলামের ছেলে তানভীর সামান্য আহত হয়। এ সময় ঘরের ভিতর আটকে থাকা পরিবারের লোকজনের বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে রাসেল নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করতে পারলেও অন্যরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে আটক সন্ত্রাসীকে পাগলা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই সিরাজুল ইসলাম ভেন্ডার বাদী হয়ে ছেলে জুয়েল মিয়াকে প্রধান আসামি করে পাগলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সিরাজুল ইসলাম ভেন্ডার বলেন, যে সন্তান ভাড়া করা সন্ত্রাসী দিয়ে নিজের বাড়িতে হামলা চালাতে পারে তার জেলের বাইরে থাকার কোনো অধিকার নাই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তোতা বলেন, আজব ব্যাপার! গাছ বিক্রি করতে দেয় নাই বলে ভাড়া করা সন্ত্রাসী দিয়ে নিজের বাড়িতে হামলা করেছে। ছেলেটির কোনো বিবেক বুদ্ধি নাই।
পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুজ্জামান খান বলেন, এ ঘটনায় বাবা বাদী হয়ে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। হামলাকারী সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।