https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/1600x0x0/uploads/media/2019/11/29/e3a8da0bb9c5be387c896de906352d81-5de1187f707ca.jpg
পুলিশ হেফাজতে রাসেল মিয়া। ছবি: প্রথম আলো

পাওনাদারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে...

by

ঢাকা থেকে অপহৃত এক ব্যক্তিকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মেঘনা নদীর ওপর নির্মিত সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর নিচে ওই ব্যক্তি পড়ে ছিলেন। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম রাসেল মিয়া (২৫)। রাসেলের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বাহেলা গ্রামে। বাবার নাম বাদশা মিয়া।

পুলিশ হেফাজতে রাসেল জানায়, তিনি মৌসুমি ব্যবসায়ী। থাকেন ঢাকার কাশিমপুরে। প্রায় এক মাস আগে কাদির মিয়া নামে তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে তিনি কিছু টাকা ধার নেন। কাদিরের বাড়িও বাহেলা গ্রামে। কথা ছিল কয়েক দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু দিতে পারছিলেন না। কাদির টাকার জন্য বেশি চাপ দিলে রাসেল কৌশল আঁটেন। কাদিরকে ঢাকার বাসায় এসে টাকা নিয়ে যেতে বলেন। সে অনুযায়ী কাদির আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার কাশিমপুর আসেন। তখন রাসেল তাঁদের একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এই খবর পেয়ে কাদিরের বন্ধুরা এসে রাত ১১টার দিকে তাঁদের মুক্ত করেন। পরে উল্টো রাসেলকে অপহরণ করেন কাদিরের বন্ধুরা। রাতেই একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর ভৈরব প্রান্তে নিয়ে আসেন। তখন রাত তিনটা। হাত পা বেঁধে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টার সময় রাসেল হইচই শুরু করেন। তখন রাসেলকে ফেলেই চলে যায়।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাঁর কথার মধ্যে অসংলগ্নতা আছে। কী কারণে এবং কারা রাসেলকে ঢাকা থেকে ভৈরব পর্যন্ত নিয়ে এল, তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।