https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/1600x0x0/uploads/media/2019/11/29/5b92b281b0f7672228662e41bb3f7439-5de0e1975708c.gif
নিনা আহমেদ

অনেক সুযোগ সম্পর্কে সাধারণ বাংলাদেশিরা অবহিত নন

by

আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে যে কয়েক জন বাংলাদেশির পদচারণা, তার মধ্যে বিজ্ঞানী নিনা আহমেদ অন্যতম। ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের অডিটর জেনারেল পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ নারী। ইতিমধ্যেই আমেরিকার রাজনীতিতে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন এবং বিচক্ষণতার মাধ্যমে পেনসিলভানিয়ার সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে তিনি একজন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। ফিলাডেলফিয়ার মেয়র জিম কেনেডির অধীনে পাবলিক এনগেজমেন্টের ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এগুলো ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সংগঠন ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রার্থিতা ঘোষণার পর বেশ জোরেশোরেই শুরু করেছেন নির্বাচনী প্রচার। এরই অংশ হিসেবে ২৫ নভেম্বর নিনা আহমেদের নির্বাচনী প্রচার দলের সিনিয়র উপদেষ্টা ইব্রুল হাসান চৌধুরীর উদ্যোগে ও সঞ্চালনায় এক কনফারেন্স কলের আয়োজন করা হয়। এতে নিনা আহমেদসহ পেনসিলভানিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যোগ দেন। এর মধ্যে বিজ্ঞানী আনিস রহমান, মেলবোর্ন কাউন্টির কাউন্সিলম্যান হাসান, অধ্যাপক এম এ হাসান তালুকদার, অধ্যাপক ইভা সরকার, আলিম উদ্দিন, আনামুল হক চৌধুরী, রফিকুল আমিন ও মফিজুল ইসলাম উল্লেখযোগ্য।
শুরুতে ইব্রুল হাসান উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন। পরে নিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যে অডিটর জেনারেল হিসেবে তাঁর দায়িত্ব ও লক্ষ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অডিটর জেনারেলের অফিসের ক্ষমতা ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ডেটা ও রিসোর্স সরবরাহ করে এবং ন্যাশনাল রাইফেলস অ্যাসোসিয়েশনের (এনআরএ) সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অস্ত্র সুরক্ষা আইন পাস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। জীবন রক্ষাকারী ওষুধের ব্যয় কমানোর চেষ্টা করবেন। একই সঙ্গে জনসাধারণ যাতে সঠিক পরিমাণ কর প্রদান করে এবং এ কর যাতে সঠিক খাতে ব্যয় করা হয়, তা নিশ্চিতের চেষ্টা করবেন।
নিনা আহমেদের বক্তব্যের পর কনফারেন্স কলে যোগ দেওয়া সবার কাছ থেকে প্রশ্ন আহ্বান করা হয়। মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশিরা যোগ দিতে পারছে না কেন, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার পক্ষ থেকে করা এমন প্রশ্নের উত্তরে নিনা আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করলে এ কথা পুরোপুরি সঠিক নয়। খেয়াল করলে দেখবেন, বর্তমানে বাংলাদেশিরা কয়েক বছর আগের তুলনায় এখন আমেরিকার রাজনীতিতে সক্রিয়। এর মধ্যে মেরী জোবাইদা, বদরুন নাহার উল্লেখযোগ্য। তরুণ প্রজন্মের বাংলাদেশিরা আমেরিকার সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন সমস্যা, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সাধারণ আমেরিকানদের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও আন্দোলন করছে। একটি শক্ত রাজনৈতিক পাইপলাইন গড়ে উঠছে।’
ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশিদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে কি না, এমন আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘অনেক সিটি জবের সুযোগ রয়েছে, যেগুলা সম্পর্কে সাধারণ বাংলাদেশিরা অবহিত নন। এ বিষয়ের ওপর আলোকপাত করব।’
কনফারেন্স কলে যোগ দেওয়া ব্যক্তিরা নিনা আহমেদকে নির্বাচনী কার্যালয়ের জন্য যথোপযুক্ত জায়গা নির্বাচন, নির্বাচনী প্রচারে তরুণদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, বিদেশিদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিসহ নানা বিশয়ে পরামর্শ দেন।
সব শেষে নিনা আহমেদ বলেন, নির্বাচনে লড়াই করার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। নির্বাচনের আগে কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার এবং ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে ১০ লাখ ডলার সংগ্রহ করা তাঁর লক্ষ্য। এর জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আগ্রহীদের তিনি ইব্রুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের (২৬৭-২৫৫-৫৬০৫) আহ্বান জানান।