https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/1600x0x0/uploads/media/2019/11/29/cfd12d6b544ec8c3e537ba3fda7597c0-5de0eb557e724.gif
বিদায় সংবর্ধনায় মাসুদ বিন মোমেন

রাষ্ট্রদূত মাসুদকে বিদায় সংবর্ধনা

by

জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিদায়ী স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনকে ২১ নভেম্বর গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। কুইন্সের একটি রেস্টুরেন্টের মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি’র ব্যানারে মাসুদ বিন মোমেন ও তাঁর স্ত্রী সোমা ফাহমিদাকে বিদায় জানানো হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের প্রধান ফখরুল ইসলাম। সদস্যসচিব ইফজাল চৌধুরীর সমন্বয়ে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মিসবাউজ্জামান। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা, সমাজকর্মী-শিল্পপতি জহিরুল ইসলাম, কমিউনিটি লিডার শেলী এ মুবদি, পিপল এন টেকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও প্রকৌশলী আবু হানিপ, খান’স টিউটোরিয়ালের চেয়ারপারসন নাঈমা খান, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোর্শেদা জামান, বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী কাজী নয়ন, ফোবানার সাবেক সভাপতি বেদারুল ইসলাম প্রমুখ। রাষ্ট্রদূতের বিদায় উপলক্ষে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন রেজাউল করিম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবদুল হাই, শামসুল আলম চৌধুরী, আবদুর রহিম, মিসবাহ আহমেদ, কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান, জাহাঙ্গীর হোসেন, মোজাহিদুল ইসলাম, এম এ মুহিত, শাহীন আজমল, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার নূরুল হক, আহসান হাবিব, যুবলীগের জামাল হোসেন প্রমুখ।
দায়িত্ব পালনকালে সবার সহায়তার কথা স্মরণ করে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মাসুদ অনুরোধ জানান, একাত্তরের ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির যে চেষ্টা জাতিসংঘে করা হচ্ছে, তা আদায়ে প্রবাসীদেরও সোচ্চার থাকতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের আচরণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সরব রাখতে হবে। এ জন্য মাঝেমধ্যেই সভা-সেমিনার-সিম্পোজিয়াম-কনসার্টের ব্যবস্থা করতে হবে। মিয়ানমারে অপকর্মে লিপ্তরা যাতে কোন পর্যায়েই মাথা উঁচু করে কথা বলার সাহস না দেখাতে পারে, সে জন্যে আন্তর্জাতিক জনমত জোরদার করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত মাসুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ ও সুস্বাস্থ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী। ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠ করেন স্বীকৃতি বড়ুয়া ও টমাস দুলু রায়। রাষ্ট্রদূত মাসুদের বদলিসহ পদোন্নতির সংবাদে প্রথম নিউইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র শাখা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এবং যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন। এরপর বেশ কটি সংবর্ধনা সমাবেশ হয়েছে নিউইয়র্কে।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ৪ বছর আগে টোকিও থেকে বদলি হয়ে নিউইয়র্কে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পান। তাঁর স্থলে যোগদানের জন্য টোকিও থেকে আসছেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা
২২ নভেম্বর রাতে জেএফকে ত্যাগের প্রাক্কালে নিউইয়র্কে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, তাঁর দায়িত্ব পালনকালে জাতিসংঘের মতো বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে উচ্চকিত করার প্রতিটি প্রয়াসে আপনাদেরকে পেয়েছি নিরলস কর্মী হিসেবে। এ সময়ের সব সংকট, সম্ভাবনা ও সাফল্যে আপনারা সারাক্ষণই বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পাশে ছিলেন অকৃত্রিম বন্ধুর মতো। জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিটি সম্ভাবনা ও সাফল্যে আপনারাও সমানভাবে আনন্দিত হয়েছেন, যার উচ্ছ্বসিত প্রকাশ ঘটেছে আপনাদের পত্রিকার পাতায়, টেলিভিশনের স্ক্রিনে, অনলাইন পোর্টালে এবং ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব সোশ্যাল মিডিয়ায়।