https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/1600x0x0/uploads/media/2019/11/29/97796f40e39a57ca744cfd0b13f77480-5de0f14e8efab.gif
টাউন হল মিটিংয়ে অতিথি ও বেঙ্গল ডেমোক্র্যাটস এবং উই আর দ্য পিপলের সদস্যরা

বেঙ্গল ডেমোক্র্যাটস ও উই আর দ্য পিপলের টাউন হল মিটিং

by

যোগ্যতা ও দূরদৃষ্টির সঙ্গে সততা, উদারতা, সৎ-সাহস এবং দেশপ্রেম ছাড়া সমাজসেবা বা জনসেবা সম্ভব নয়। সমাজের চলমান বাস্তবতাকে ধারণ করে সুদূর প্রসারী কল্যাণ চিন্তাই একজন সমাজ সংগঠকের প্রধান কাজ। এ কাজকে এগিয়ে নিতে হলে নিজেদের যোগ্য করে তোলার বিকল্প নেই।
২৫ নভেম্বর বেঙ্গল ডেমোক্র্যাটস ও উই আর দ্য পিপল আয়োজিত টাউন হল মিটিংয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। আমেরিকায় মূলধারার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ, কমিউনিটি সার্ভিস, বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারে ‘ক্রাইমস অ্যাগেইনস্ট হিউম্যানিটি’ শীর্ষক সভায় দেশি-বিদেশি পাবলিক অফিশিয়াল, অ্যাটর্নি, শিক্ষাবিদ, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ও মানবাধিকার কর্মীরা অংশ নেন।
সভায় কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেংয়ের প্রধান নির্বাহী ডেভিন উইলসপিক ও নিউইয়র্ক স্টেটের সাবেক সিনেটর হায়রাম মনসেরাত আমেরিকান রাজনীতিতে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণকে ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করেন। তাঁরা বলেন, তবে বাংলাদেশিদের মধ্যে সমন্বয়, যোগ্যতা ও দূরদৃষ্টির অভাবে তারা আজও আমেরিকার রাজনীতিতে জায়গা করে নিতে পারেনি। নিজের নাম প্রচারের জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ খেতাব গ্রহণ করার অর্থ সমাজ সেবা নয় এবং তা রাজনীতিরও অংশ নয় বলে মনে করেন তাঁরা।
অ্যাটর্নি ডেভিড কর্নগোল্ড, অ্যাটর্নি জন ডিমাইও, অ্যাটর্নি অ্যাঞ্জেল ক্রুজ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশে নানা ভাবে মানবাধিকার বিপন্ন হচ্ছে।
অ্যাটর্নি ডেভিড কর্নগোল্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের গঠনমূলক কাজের দ্বারা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সত্যিকার লিডারশিপের অভাব থাকলেও জেকব মিল্টনের মতো ব্যক্তিত্ব রয়েছে; যার দূরদৃষ্টি, লিডারশিপ কোয়ালিটি ও ভিশন উল্লেখ করার মতো।
মানবাধিকার কর্মী টালিয়া উফকা সাউথ এশিয়ানদের আমেরিকার রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বেঙ্গল ডেমোক্র্যাটের সক্রিয় ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। টালিয়া উফকা উক্ত অনুষ্ঠানে আমেরিকানদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের সমন্বয়ের সুযোগ করে দেওয়ায় জেকব মিল্টনকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শওকত আলী ও প্রবীণ সাংবাদিক মুহাম্মাদ জয়নাল আবেদীন বক্তব্য রাখেন।
সভার শেষ বক্তা জেকব মিল্টন প্রবাসী বাংলাদেশিদের দূরদৃষ্টি, সচেতন, সৎ ও যোগ্যতা দিয়ে সমাজসেবা বা রাজনীতি করার উপদেশ দেন। তিনি নিজেদের মধ্যে বিভেদ না বাড়িয়ে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। আমেরিকার রাজনীতিতে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশিরা যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন ছাড়াই নির্বাচন করে নিজেদের এবং কমিউনিটিকে হাসির পাত্র বানাচ্ছে। তাঁরা সার্বিকভাবে নির্বাচন তো দূরের কথা রাজনীতি করার পর্যায়েই পৌঁছেনি। তবে তিনি আমেরিকার নির্বাচন ও রাজনীতিতে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে আশাবাদী।
অনুষ্ঠানে আগা সালেহ, কামাল সাঈদ মোহন, আবু এম হক, ওসমান চৌধুরী, আবু তালেব, আবদুর রহমান, মাহবুব মণ্ডল, রোকেয়া দীপা, ইয়ামিন হোসাইন, সাঈদুর রহমান ও আবু জামানসহ কমিউনিটির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব পালনে বেঙ্গল ডেমোক্র্যাট মহাসচিব নিরু এস নিরা সফল ভূমিকা পালন করেন।