বাজার থেকে পেঁয়াজ উধাও!

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2019/09/17/6afe6c78203443ea1a6bfd8280b0d58c-5d80b2c6037a6.jpg

সরকারের নানা উদ্যোগের পরেও স্থিতিশীল হয়নি পেঁয়াজের বাজার। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির সংবাদেও কমেনি দাম। এর ওপর বেশি দাম দিয়েও মিলছে না রান্নার প্রয়োজনীয় এ উপকরণ। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে বেনাপোল বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানেই পেঁয়াজ নেই। দুই-একটি দোকানে পেঁয়াজ পাওয়া গেলেও আগের মতোই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের আমদানি না থাকায় বেশি দামে কেনাবেচা চলছে। তবে চোরাই পথে পেঁয়াজ এলেও বিজিবির কঠোরতায় তা দেশে প্রবেশ করতে পারছে না। ভারতে খুচরা বাজারে বর্তমানে ৭০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তারা।

বেনাপোল বাজারের বিসমিল্লাহ ভাণ্ডারের মালিক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাজারে পেঁয়াজ নেই। আমাদের মোকাম থেকে ১৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এরপর পরিবহন ও কুলি-সহ অনেক খরচ আছে। তাই বাধ্য হয় ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।

একই কথা বলেন আনন্দ ভাণ্ডারের মালিক হযরত আলী। তবে আড়তদারদের কাছে বেশি দামে পেঁয়াজ কেনার মেমো দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে পারেননি।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, বাজারে চোরাইপথে কিছু ভারতীয় পেঁয়াজ আসছে। সেই পেঁয়াজও বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বিদেশ থেকে যে পেঁয়াজ সম্প্রতি আমদানি হয়েছে সে পেঁয়াজ এখনও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আসেনি। তাই বাজারে পেঁয়াজের সংকট রয়েছে।

বেনাপোল বাজারের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মোকাম থেকে পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে কিনছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাজারে এনে সে পেঁয়াজ বিক্রি করছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। এটা অতিরিক্ত। সর্বোচ্চ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় তা বিক্রি করতে পারে। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লুটে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এই ব্যবসায়ী।

যশোরের শার্শা উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মণ্ডল বলেন, শুনেছি শার্শা উপজেলার সব বাজারে পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।