পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা পুলিশের

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2019/11/29/6b04f76c7cc62646298f89ab682633cb-5de0fb647f56f.jpg
তিন পুলিশ সদস্যসহ গ্রেফতার চার জন

টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক ব্যক্তির পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তিন পুলিশ সদস্য ও তাদের একজন সোর্সকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সখীপুর থানায় দায়ের করা মামলায় শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায় আরও দুই পুলিশ সদস্য ও একজন সোর্সকে আসামি করা হয়েছে। তারা পলাতক রয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে বজলু নামে এক ব্যক্তির পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার সময় গ্রেফতার তিন পুলিশ সদস্য ও তাদের একজন সোর্সকে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী। পরে ওইদিন রাত পৌনে ৮টার দিকে তাদের উদ্ধার করে সখীপুর ও মির্জাপুর থানা পুলিশ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন—মির্জাপুরের বাশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল গোপাল সাহা, রাসেল ও সোর্স হাসান। পলাতক তিনজন হলেন—ওই ফাঁড়ির কনস্টেবল হালিম ও মোজাম্মেল এবং সোর্স আল আমীন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যে তারা সেখানে গিয়েছিল। এ ব্যাপারে সখীপুর থানার এসআই আইনুল হক বাদী হয়ে সাত জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করেছেন। তাদের কাছ থেকে ২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এএসআই রিয়াজুলের নেতৃত্বে ওই পুলিশ সদস্যরা গাবিলার বাজারে গিয়ে হতেয়া রাজাবাড়ীর ভাতকুড়াচালার ফরহাদ মিয়ার ছেলে বজলুর পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ সদস্যদের আটক করে রাজাবাড়ী আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার একটি দোকানে নিয়ে যান। সেখানে তাদের গণধোলই দিয়ে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে এলাকার শতশত জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। পরে সখীপুর ও মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।